জুলাই ২০২৫-এ শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “সাম্যভিত্তিক সমাজ গড়তে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।”
এ কথা তিনি বলেন শিক্ষক সম্মাননা উপলক্ষে এক লিখিত পত্রে।সাম্যভিত্তিক সমাজ গঠনে মানসম্মত শিক্ষা
প্রথম অনুচ্ছেদ: ঘটনার বিস্তারিত
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার ২৬৭ জন শিক্ষককে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি লিখিত বার্তা পাঠিয়েছেন।
এ শিক্ষকরা সম্প্রতি স্কুল পাঠ্যবই সংশোধনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
পত্রে তিনি বলেন, “পাঠ্যপুস্তক শুধু একটি বই নয়, এটি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও নৈতিকতা গঠনের মৌলিক ভিত্তি।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “শিক্ষাই বৈষম্য দূর করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।”
এ ধরনের বার্তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের উৎসাহিত করবে।
শিক্ষার গুরুত্ব এবং তার প্রভাব সমাজ গঠনে কতটা গভীর, তা এই বক্তব্যে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।সাম্যভিত্তিক সমাজ গঠনে মানসম্মত শিক্ষা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ: বিশেষজ্ঞ বা জনগণের মতামত
বিভিন্ন শিক্ষাবিদ ও নীতিনির্ধারকরা শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন।
জাতীয় শিক্ষানীতি ফোরামের সদস্য অধ্যাপক আমিনা হক বলেন, “এই বার্তা সময়োপযোগী এবং দিকনির্দেশনামূলক।”
তিনি বলেন, “সমাজে যেসব বৈষম্য বিরাজমান – যেমন অর্থনৈতিক, লিঙ্গভিত্তিক বা গ্রামীণ-শহুরে ব্যবধান – এসব দূর করতে শিক্ষার ভূমিকাই প্রধান।”
একজন স্কুল প্রধান শিক্ষক বলেন, “আমরা গর্বিত যে পাঠ্যবই সংশোধনের কাজে অবদান রাখতে পেরেছি।”
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “এই ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরও মানবিক ও দায়িত্বশীল হবে।”
তৃতীয় অনুচ্ছেদ: অতীতের প্রেক্ষাপট বা সম্পর্কিত তথ্য
বাংলাদেশে শিক্ষা খাতে বৈষম্য দূর করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আগেও।
২০০৯ সালে প্রথম জাতীয় শিক্ষানীতিতে “সবার জন্য শিক্ষা” নীতি গ্রহণ করা হয়।
এরপর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্কুল স্থাপন, উপবৃত্তি প্রোগ্রাম চালু, ও মেয়েদের জন্য আলাদা সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।
তবে পাঠ্যবই সংশোধনের মাধ্যমে গুণগত পরিবর্তন আনার এই প্রচেষ্টা তুলনামূলক নতুন।
শিক্ষা উপদেষ্টার মতে, “শুধু অবকাঠামো নয়, মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করাই এখন মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।”
চতুর্থ অনুচ্ছেদ: ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও সম্ভাব্য আপডেট
জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন একটি পাঠ্যসূচি সংস্কার প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে ২০২৬ সাল থেকে।
এতে করে পাঠ্যবই আরও আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।
প্রযুক্তি, নৈতিকতা ও পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয় আরও জোর দিয়ে পড়ানো হবে বলে জানা গেছে।
শিক্ষা উপদেষ্টার বার্তা সেই পরিবর্তনের আগাম ইঙ্গিত হতে পারে।
তিনি বলেন, “এই পরিবর্তনের অংশীদার হতে চাই সবাইকে নিয়ে।”
এতে শিক্ষক, অভিভাবক, প্রশাসক—সবাই একসাথে কাজ করলে সমতা ও ন্যায়ের সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।
উপসংহার (Conclusion):
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারের বক্তব্যটি সময়োপযোগী ও প্রেরণামূলক।
তিনি যে শিক্ষাকে বৈষম্য দূরীকরণের হাতিয়ার বলেছেন, তা আমাদের বর্তমান সমাজে খুবই প্রাসঙ্গিক।
সবার জন্য গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করলেই একটি সাম্যভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।
সূত্র (Source References):
- শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশিত বিবৃতি, জুলাই ২০২৫
- জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ (বাংলাদেশ সরকার)
- শিক্ষাবিদ আমিনা হকের সাক্ষাৎকার (দৈনিক শিক্ষা, ২৫ জুলাই ২০২৫)
ডিক্লেইমার (Disclaimer):
এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত তথ্যসমূহ নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে সংগৃহীত হয়েছে।
কোনো গুজব বা অনুমানের ভিত্তিতে তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি।
প্রতিটি তথ্য যাচাই-বাছাই করে সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে পাঠকদের সুবিধার্থে।